রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি ঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দল্টা ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের ঘটনায় শালিসী বৈঠকে ১লক্ষ টাকা রায়ের ঘটনায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে শালিসী সিন্ডিকেটের প্রধান কথিত আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ রাশেদ খলিফার নেতৃত্বে ইউপি সদস্য মোঃ আলী হোসেন, দেলোয়ার হোসেন ও হালিম মেম্বারের ভাই পাখি পাটোয়ারীসহ ৫ শালিসদার। ২১ফেব্রুয়ারী রাতে ছাত্রলীগ নেতা মহসিন ভূঁইয়ার বসতঘরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে জরুরী শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ধর্ষিতা কলেজছাত্রী,তার বাবা ও ভাইয়ের কাছ থেকে জোরপূর্বক ৩শত টাকার খালি স্টাম্প ও সাদা কাগজে স্বই-স্বাক্ষর নিয়ে শালিসদাররা ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে বের করে দেয়। এদিকে ২৮ফেব্রুয়ারী ধর্ষক মহসিন গ্রেফতারের পর থেকে সকল শালিসদাররা স্বাক্ষরিত ৩শত টাকার স্টাম্প সাদা কাগজ নিয়ে গোপনে গা-ডাক দিয়ে অন্যত্রে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ৫মার্চ শুক্রবার ধর্ষিতার বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন স্বই-স্বাক্ষরকৃত স্টাম্প ও সাদা কাগজের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী জানান, আমি স্টাম্পে স্বাক্ষর দিতে চাইনি। শালিস রাশেদ খলিফা জোর পূর্বক আমার কাছ থেকে ৩শত টাকার স্টাম্প ও সাদা কাগজে স্বই-স্বাক্ষর নিয়েছে। আমি সব কিছু পুলিশদেরকে বলেছি। কিন্তু ১৫দিন অতিবাহিত হলেও ওই স্টাম্প ও সাদাকাগজ এখনো উদ্ধার হয়নি।
মোবাইলে শালিশদার আলী হোসেন মেম্বার জানান,শুধু ধর্ষনের ঘটনা নয় যে কোন বিষয়ে দু পক্ষই যদি আমাদের কাছে আসে আমরা বিচার করতে পারবো। এবিষয়ে তারা আমাদের কাছে বিচারের জন্য আসলে জরিমানা করে রাশেদ খলিফাকে সাথে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছি। এটা কোন দোষের কিছু হয়নি। এখন মামলা যেহেতু হয়েছে আসামীও গ্রেফতার হয়েছে। আর এখন ওই স্টাম্পের কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ মহসিন চৌধুরী জানান, ৩ শত টাকার ষ্টাম্প উদ্ধারের জন্য চেষ্ট অব্যাহত রয়েছে।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, কলেজছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা করবেন।
No comments:
Post a Comment