বিশেষ প্রতিবেদনঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেছেন, আনুশকার প্রাইভেট পার্টে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আর সেটি হয়েছে মূলত তার ‘ভ্যাজাইনাল’ এবং ‘রেক্টাম’ রক্তক্ষরণ। দুইভাবে রক্তক্ষরণের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এটা আপাতদৃষ্টিতে বিকৃত যৌনাচার মনে হয়েছে বলে জানান তিনি। কি বীভৎসতা!!
তবে সেক্স ম্যানিয়াক দিহানের এমন স্বভাব হুট করে হয়নি। নাম গোপন রাখার শর্তে দিহানের পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট একব্যক্তি কিছু অবাক করা তথ্য দিয়েছেন —- আনুশকার রেপিস্ট দিহানের নিন্মাঙ্গে যখন “কাঁচা কেশ” গজাতে আরম্ভ করেছিল, তখন থেকেই সে সানি লিয়ন মিয়া খলিফায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল।
বাসার এলইডি টিভির বিশাল স্ক্রিনে সানি লিয়ন মিয়া খলিফাদের নীলছবি দেখে নব্য যৌবনের খায়েশ মেটাতো। জানা গেছে এই ছেলে ইয়াবা ভায়াগ্রাসহ সব ধরনের জিনিসে হাত মেরেছে। তার মা সানজিদা সরকার শিল্পী এসবই জানতেন। তবে তিনিও মউজ মাস্তিতে ব্যস্ত থাকতেন।
উনারও নাকি পুরুষবন্ধুর কমতি ছিলনা। যার ফলে দিহানের বাবা আব্দুর রউফের সাথে স্ত্রীর সুসম্পর্ক ছিলনা। রউফ সাহেব তার গ্রামের বাড়িতে থাকতেন।
রেপিস্ট দিহানের বাবা আবদুর রউফ সরকার পেশায় ছিলেন সাব-রেজিস্ট্রার। সাব- রেজিস্ট্রার আবার সাহেব অঢেল বিত্তশালী। বাংলাদেশের চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারী যেখানে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যায়, সেখানে আব্দুর রউফ সাহেবের কোটিপতি হওয়া জায়েজ বৈকি! তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার রাতুগ্রাম।
জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরেও বাড়ি রয়েছে আব্দুর রউফ সরকারের। এছাড়া রাজশাহী নগরীর সাগরপাড়া ও পদ্মা আবাসিক এলাকায় রয়েছে আরও দুটি বাড়ি। ঢাকার কলাবাগানে রয়েছে ফ্ল্যাট। তাদের তিন ছেলে। মেজোছেলে সুপ্ত ও ছোটছেলে দিহানকে নিয়ে সানজিদা ঢাকার ফ্ল্যাটে থাকতেন।
ছেলেমেয়েদের কর্মকান্ডের সাথে ফ্যামিলির কালচার জড়িত। পরিবারে যেভাবে সে বেড়ে উঠবে, সেটাই ভবিষ্যতে তার চরিত্রের ফাউন্ডেশন হবে। প্রতিযোগিতা করে সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানোর কালচার বহু পুরনো হয়ে গেছে। টাকা কামাতে কামাতে বাবা উন্মাদ হয়ে যান। মা’ও এই বিধ্বংসী উন্মুক্ততায় সামিল হন। সন্তানের উপর থেকে মা বাবার মনোযোগ সম্পূর্ণ সরে যায়।
এদের সন্তান বড় হয় কেয়ারগিভারের (Care giver) তত্ত্বাবধানে। মা ব্যস্ত ক্লাবে পার্টিশার্টি নিয়ে। ছেলেমেয়েকে তারা সময় দেননি। সন্তানের সাথে যে “কোয়ালিটি টাইম” কাটাতে হয় তারা সেটা জানেন না। সন্তানদের তারা বিত্তবৈভবের হেফাজতে দিয়ে রেখেছেন। আর এভাবেই সুস্থ শিক্ষিত পারিবারিক সংস্কারের অভাবে একটা একটা করে দিহানের মত উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলেদের জন্ম হচ্ছে।
নামীদামী ইংলিশ স্কুল কলেজে ছেলেমেয়েদের পড়তে দিলেই সে শিক্ষিত হয়না। আসল শিক্ষা তো পরিবার থেকেই আসে। বিশেষ করে মা বাবার কাছ থেকে। আনুশকার করুণ পরিণতি আমাদের সমাজের জন্য অ্যালার্মিং। আজ যদি দিহান সঠিক পরিচ্ছন্ন পারিবারিক সংস্কার পেতো, তার ভেতরে আজকের এই কামুক রাক্ষস জন্ম নিতোনা। দিহানের মা সচেতন থাকলে তার ছেলের ভেতরে বসবাসরত দানবকে মেরে ফেলতে পারতেন। তাহলে আজ আনুশকাকে মরতে হতোনা। অভিভাবকরা সতর্ক হোন, আপনার সন্তানের ফ্রেন্ড সার্কেলের দিকে নজর রাখুন। কার সাথে আপনার সন্তানের বন্ধুত্ব তৈরি হচ্ছে সেটা দেখভালের দায়িত্ব কিন্তু আপনার।
No comments:
Post a Comment