লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাযাচাই বাছাই কমিটি জামুকার নিয়ম নীতি অনুসরণ না করেই গঠন করায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক যাচাই-বাছাই এর অনিয়মের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট একটি অভিযোগ দাখিল করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে।
রামগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চুর মৃত্যুর পর আর কোন মুক্তিযোদ্ধা কমিটি না হওয়ায় প্রদাধিকার বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুক্তিযোদ্ধাদের সকল কার্যক্রম তদারকি করেন।
সারাদেশে মু্ক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইর ধারাবাহিকতায়২০১৭সালে জামুকার প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অনুমোদন প্রাপ্ত একটি কমিটি যাচাই-বাছাই শুরু করেন। পরের দিন হঠাৎ জানতে পারেন, হাইকোর্টে একটি রিট দাখিল হয়েছে।
এর সুবাদে তৎকালীন যাচাই-বাছাই স্থগিত হয়ে যায়।
পরবর্তী ২০১৯সালে জামুকার নিয়ম নীতি অনুসরণ না করে একটি কমিটি যাচাই-বাছাইর জন্য প্রচার প্রচারনা করেন, নিয়ম নীতি না মানার কারনে হাইকোর্টে আরেকটি রিট দায়ের করেন পূর্বের কমিটি। এতে করে যাচাই-বাছাই দু' দুই বার স্থগিত হয়ে যায়। গত ১০শে নভেম্বর যাচাই-বাছাইর জন্য ফের ২০১৯ সালের কমিটি মাইকিং করলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাসার পাটোয়ারী নিয়ম বহিঃভূত কমিটি দিয়ে যাচাই-বাছাই শুরু করায় জেলা প্রশাসক বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
হাইকোর্টের তোয়াক্কা না করেই উক্ত যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার বলেন আকম রুহুল আমিন মুক্তিযুদ্ধ কালীন কমান্ডার ছিলেন না। এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমান আছে তাঁর কাছে।
গতকাল ২০শে নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার পাটোয়ারী উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আবুল কালাম পাটোয়ারী, নায়ক মোঃ চৌধুরী মিয়া, মনতাজ চৌধুরী, হারুনর রশীদ, আঃ কুদ্দুস, শাহজান সানাই, আঃ আলী, শহিদ উল্লাহ, আমির হোসেন, ভারতীয় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত ৪০জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার বলেন, সঠিক কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হোক এটা আমার এবং সকল সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী।
No comments:
Post a Comment