রামগঞ্জের চাঞ্চল্যকর প্রিয়া হত্যার প্রধান ঘাতক বাহারের সহযোগী শিপলুকে আটক করছেন পুলিশ।
প্রিয়া হত্যার দীর্ঘ দুই মাস পরে বহু আলোচিত, সমালোচিত শিপলুকে গ্রেপ্তার না করায় মামলার বাদীসহ স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। শনিবার রাতে শিপলুকে ধৃত করে ক্ষোভ অবসান হচ্ছে বলেই মামলার বাদী প্রিয়ার বাবা লোকমান চৌকিদার জানান।
মোবাইল ট্যাংকি, বিরামহীন পরিশ্রম করে শনিবার রাত ৯টায় ঢাকা আদাবর থানা পুলিশের সহায়তা মামলার তদন্তকারী পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই মহসিন চৌধুরী তাকে আজ রোববার আদালতে সোপর্দ করেন। উল্লেখ্য রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা মোহাম্মদপুর গ্রামের লোকমান চৌকিদারের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়ে ফাতেমা অাক্তার প্রিয়াকে একই ইউনিয়নের বাউর খাড়া গ্রামের বাহার নামক এক নরঘাতক তার বসতবাড়ির সংলগ্ন মন্দার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গণধর্ষন করে হত্যা করেন।ঘাতকের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার প্রিয়ার বাড়ির সম্পর্কে ফুফু হোন।
বেড়ানো কথা বলে বাহার,তার স্ত্রী রাবেয়া সহয়তা , সহযোগী শিপলু সহ আরো ৩ জন গণধর্ষন করে হত্যা করেন। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষে তড়িগড়ি করে শিপলু দাপন-কাপনের টাকা যোগান দিয়ে ঘাতক বাহার শশুর লোকজন নিয়ে তাকে দাপন করেন।
দাপনের সময়ে পাশ্ববর্তী বাড়ির সেলিনার বক্তব্য শুনে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠু অনুসন্ধানী তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ প্রশাসনকে জানান। পুলিশ হত্যা মামলা করে প্রধান আসামী বাহারকে আটক করে লক্ষ্মীপুর কো্টে সোপর্দ করেন। দাপনের দুই দিন পরেই জেলা বিজ্ঞ আদালত প্রিয়ার লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্ত জন্য জেলা মর্গে প্রেরন করেন।
প্রিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন হওয়ার পরেই বাহারকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। ওইদিনে বাহার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার, ঘাতকের বন্ধু শিপলুসহ বাকি আসামীরা গা ঢাকা দেন।
এর পরেই প্রদান ঘাতকের স্ত্রী এজাহার ভুক্ত রবােয়াকে আটক করে পুলিশ। রাবেয়া ও তার শ্বামীর ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে শিবলু সহ বাকী আরো আসামী ধর্ষণ সহ হত্যার ঘটনার জড়িত রয়েছে । এজাহার ভুক্ত বাহা৷ স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে চাটখিল উপজেলার মনোহর গ্রাম থেকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
No comments:
Post a Comment