রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
সত্তুর বছর বয়সী বৃদ্ধ মোবাশ্বেরা বেগম। দীর্ঘদিন ধরে করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন তিনি। দু’সপ্তাহ আগে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসলে নিজ বাড়িতেই আইসোলশনে ছিলেন। ১৫ দিন পার হওয়ায় দ্বিতীয়বারের মত ওই বৃদ্ধার নমুনা সংগ্রহের সময় হয়েছে। কিন্তু তিনি হাঁটতে না পারায় বাড়িতে এসে নমুনা সংগ্রহের অনুরোধ জানিয়ে কয়েকদিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফোন দেন মোবাশ্বেরার পরিবারের লোকজন। কিন্তু এতে কর্ণপাত করেনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। পরে দেড় হাজার টাকার চুক্তিতে ওই বৃদ্ধার নমুনা সংগ্রহ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ সহকারী শাহআলম এবং ড্রাইবার হুমায়ুন কবির। নমুনা সংগ্রহ শেষে চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিতে হয় তাদের।
এমন ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায়। পরে নমুনা সংগ্রহ করতে ওই বৃদ্ধার পরিবার থেকে টাকা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ গিয়াস উদ্দিন মানিক।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২ জুন ওই বৃদ্ধার ছেলে নূরনবী করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। পরে করোনা পরীক্ষার জন্য নিহতের পরিবারের অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষায় নিহতের মা মোবাশ্বেরার করোনা পজিটিভ আসলে নিজ ঘরেই আইসোলশনে ছিলেন তিনি। পনের দিন পার হওয়ায় দ্বিতীয় বারের মতো নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন হয়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শাহআলম টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, রোগীর লোকজন টাকা দেওয়ায় নিয়েছেন তারা।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গুনময় পোদ্দার বলেন, অভিযুক্ত শাহআলম ও হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেবেন তিনি।
No comments:
Post a Comment