মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজা
নাগরপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ পুরো পৃথিবী সহ বাংলাদেশ যখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে দিশেহারা তখন নাগরপুর উপজেলার ইটভাটাগুলোতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাজ করছে শ্রমিকরা।সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার বিসমিল্লাহ, এসকেস, আবিদ ব্রিকস এ কর্মরত বেশিরভাগ শ্রমিক মাস্ক ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন শ্রমিক জানান,আমরা গরীব মানুষ।পেটের দায়ে ভাটায় কাজ করছি।মালিকরা আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিষয়ে তেমন কোন নজর দেয় না।
ভাটাগুলো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করায় জনমনে প্রশ্ন জেগেছে তবে কি ইট খোলা জরুরি সেবার আওতায় পড়ে?
অজ্ঞাত কারনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টিতে গুরুত্ব না দেয়ায়, নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। উপজেলার প্রতিটি ইট ভাটায় ৩ থেকে ৪শ শ্রমিক কাজ করে প্রতিদিন। আর এই উপজেলায় একরকম ইটের ভাটা রয়েছে ২৩টি। সকল ইট ভাটার যথাযথ বৈধতা আছে কি না, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
ইট ভাটার নির্মান শ্রমিকদের এদের জীবন-যাপনের বাস্তবতা বড়ই কঠিন। এসব শ্রমিকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। এক সংগে গাদাগাদি করে এদের খাওয়-দাওয়া, উঠা-বসা এবং রাত্রি যাপন করতে হয় তাদের। অপরদিকে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে পেট চলবে কি ভাবে তাদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।
হাতে গোনা কয়েকজন ইট ভাটা মালিকের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে গিয়ে একদিকে যেমন সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে অন্যদিকে রাষ্ট্র হুমকির মুখে রয়েছে।
বিষয়টিতে সরকারের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে বিজ্ঞজনেরা। অবিলম্বে ইটভাটাগুলো বন্ধ ঘোষনা করে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের নিরাপদ গন্তব্য নিশ্চিত করা জরুরী।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে এসকেএস ইটভাটার মালিক সূর্য কান্ত সাহা বলেন,আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে সঠিক কোন নির্দেশনা পাই নাই।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন,করোনা প্রতিরোধে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে ভাটা মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
যদি কেউ নির্দেশনা অমান্য করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment