এস,এম,বাবর,
লক্ষ্মীপুরে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে সরকারি নির্দেশনা মেনে বাড়িতে অবস্থান করায় নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যহত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিল থেকে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে জেলার ৫টি উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ত্রাণের ৭২ মেট্রিক টন চাল ও ৮ লাখ ২০ হাজার টাকার নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে প্রতিটি পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, ৫০০ গ্রাম সরিষার তেল ও একটি সাবান দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সরকারী এসব সামগ্রী প্যাকিং করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে দরিদ্র পরিবার গুলোর তালিকা অনুযায়ী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংঘটনের পক্ষথেকেও ত্রান সামগ্রী বিতরন অব্যহত রয়েছে।
হতদরিদ্র পরিবার গুলোর খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতেই সরকারের এমন কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল,পুলিশ সুপার ড. এএইচ এম কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যন মোঃ শাহাজান, পৌর মেয়র আবু তাহের, উপজেলা চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন টিপু, জেলা আ"লীগের সাঃ সম্পাদক এ্যাড,নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন সহ বিভিন্ন সামাজিক সংঘটন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ পৃথক পৃথক ভাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরন অব্যহত রেখেছেন।
জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুর জেলার সার্বিক পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো রয়েছে। এই দুর্যোগে মানবিক সহায়তা হিসেবে জেলার হতদরিদ্র পরিবার গুলোর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment