নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর বিপ্লব হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটিত ও পরিকল্পনাকারী মিন্নত গ্রেফতার - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Tuesday 11 February 2020

নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর বিপ্লব হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটিত ও পরিকল্পনাকারী মিন্নত গ্রেফতার


মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজা 
নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ বিপ্লব হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সহ সকল কিলারদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে নাগরপুর থানা পুলিশ।
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ সকালে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কুষ্টিয়ার বিল সংলগ্ন সরিষা ক্ষেত থেকে একই ইউনিয়নের উজ্জল এর ছেলে বিপ্লব (১৫) এর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে নাগরপুর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ছেলে হত্যার আগে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ বিকেলে পিতা উজ্জ্বল মাদক সহ গ্রেফতার হয়। 
ক্লু-লেস বিপ্লব হত্যার তদন্তকারী অফিসার নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) মো. গোলাম মোস্তফা মন্ডল এই মামলায় বিবাদী না থাকায় সন্দেহের সাগরে নিমজ্জিত হয়। 

তদন্তকারী পুলিশের চৌকস এই সদস্য বিপ্লব ও উজ্জ্বল পরিবারের বিগত সময়ের  ঘটে যাওয়া প্রায় সকল ঘটনার খোঁজ খবর নেন। এছাড়াও তিনি সোর্স ও রহস্য উন্মোচনের পুলিশ ট্রেনিং এর শিক্ষা এই মামলায় প্রয়োগ করে জানতে পারে, উজ্জ্বল একজন ধোঁকাবাজ মাদক ব্যাবসায়ী ছিল। বিভিন্ন  সময়ে মাদক বিক্রির কথা বলে ঘাস, খড়, লতা-পাতা দিয়ে দিতো ক্রেতাদের। মিন্নত ছিল এদের মধ্যে একজন । পুলিশের এই অফিসার উজ্জ্বলের প্রতারণার স্বীকার এমন মাদকাসক্তদের নজরে আনেন। 
এদের সাথে কথা বল্লে বেরিয়ে আসতে থাকে ক্লু।
পরে তিনি সূত্র ধরে সাগরকে জিজ্ঞেসাবাদ করেন। জিজ্ঞেসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার দায় স্বীকার করে সাগর।
হত্যাকারী ৪ জন উপজেলার ধুবড়িয়া পূর্ব পাড়া গ্রামের মজনু মোল্লার ছেলে সাগর (১৯), একই গ্রামের মৃত মুকুল মিয়ার ছেলে আছাদুল (২২), সেহরাইল গ্রামের মৃত আজমত আলীর ছেলে ছানোয়ার (৩০), আলোকদিয়া গ্রামের মৃত আমির উদ্দিন এর ছেলে মিন্নত(৪৫)।
এদের মধ্যে সাগর ১৬৪ ধারায় সিনিয়র জুডেসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রুপম কুমার দাসের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি অনুযায়ী হত্যা মূল পরিকল্পনাকারী মিন্নত। সাগর, মিন্নত, ছানোয়ার ও আছাদুল মিলে হত্যা করে বিপ্লবকে। তার তথ্য অনুযায়ী ব্যবহৃত ছুরি ও জ্যাকেট উদ্ধার করে পুলিশ। 
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. আলম চাঁদ বলেন, এটি একটি ক্লু-লেস হত্যা কান্ড ছিল। এই মামলার বাদীর আত্নহত্যায় তদন্ত বাধা প্রাপ্ত হয়। এ মামলার তদন্তকারী সদস্যের একটি চৌকস দল নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) মো. গোলাম মোস্তফা মন্ডল তার সঙ্গীয় ফোর্স এসআই নূর মোহাম্মদ ও দল নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রায় ২ দুই মাসের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর বিপ্লব হত্যার সত্য উদঘাটন করতে পেরেছে এবং জড়িত সকল আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। যা নাগরপুর থানা ও পুলিশ সদস্যের ভাবমূরর্তি উজ্জীবিত করেছে। তিনি আরো বলেন, মাদক ধ্বংস করল ৫ টি পরিবার। মাদক কে না বলা সকলের উচিত।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages