ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রাথমিক শিক্ষা ---ইউনুছ বেলাল - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Friday 17 January 2020

ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রাথমিক শিক্ষা ---ইউনুছ বেলাল



ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের ছবিটি প্রথম  দেখেছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ তাঁর সেই ছবির দৃশ‍্যগুলো বেশিরভাগই বাস্তবতা পেয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবতা আমদের একটি উন্নতবিশ্বের গৌরবদীপ্ত অংশীদার হতে সাহায্য করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আসলে কী হতে পারে,তার যথার্থ উত্তরটা আমরা বাস্তবায়ন থেকে পেয়েছি। এর সাফল্য শহর থেকে গ্রামে পৌঁছে গেছে। গ্রামের অতি সাধারণ মানুষও  উপকৃত হচ্ছে। প্রায় সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ব‍্যবস্হাপনা রয়েছে। 
সহসাই আমরা দেখতে পাব,তার শতভাগ বাস্তবায়ন ও সাফল্য। এরূপ আশাবাদী দেশপ্রেমিক সকল মানুষের হওয়া উচিত।
শিক্ষা, প্রযুক্তি ও  শিল্পে সাফল্য ফেলে  আমরা একটি
উন্নত দেশ হিসেবে দ্রূত এগিয়ে যেতে পারি।
 শুরুতে শিক্ষা নিয়ে ভাবা দরকার এবং নিশ্চয়ই প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষায় আমাদের শিশুরা দশ 
থেকে এগারো বছর বয়সে সমপন্ন করে। সাধারণত গ্রামের শিশুরা, দরকারি প্রযুক্তির কোন শিক্ষা স্কুল থেকে পায়না,যার মাধ্যমে একজন শিশু নিজেকে দক্ষ করে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে। 
উন্নত বিশ্বে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে একটি শিশু যতটা ভাষাজ্ঞান এং প্রযুক্তিগত দক্ষতা লাভ করে,তার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আমাদের শিশুরা। এভাবে সাধারণ 
শিক্ষা ব‍্যবস্হায়, মাধ‍্যমিক ও উচ্চ মাধ‍্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেও একই অব্সহায় রয়ে যায় শিক্ষার্থীদের।
 প্রতিটি উপজেলায়  অন্তত একটি বিদ‍্যালয় এখনও শতভাগ ডিজিটাল পদ্ধতি পাঠদানের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। কারণ এখনও অধিকাংশ শিক্ষকেরআই সি টি প্রশিক্ষণ নেই। যাদের প্রশিক্ষণ রয়েছে, তারাও
প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত এবং  বিদ‍্যালয়ে উপযোগী  সাপোর্ট না থাকায় প্রশিক্ষণ প্রয়োগ করতে পারছেন না।
এখন সময় হয়েছে প্রাথমিক বিদ‍্যালয়েয় সকল শিক্ষক দ্রূত সময়ের মধ‍্যে আই সি টি প্রশিক্ষণ দিয়ে, একটি করে ল‍্যাপটপ হাতে তুলে দেওয়ার। সকল বিদ‍্যালয় গুলো ইন্টারনেট সংযোগের আওতায়  আনতে হবে।
প্রতিট শ্রেণিকক্ষ মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদানের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
যথাযথ সুযোগ -সুবিধা প্রাপ্ত হলে প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের 
অধিকাংশ শিক্ষক আন্তর্জাতিক মানের পাঠদানের সামর্থ রাখে। এজন‍্য অবশ‍্যই প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে শিক্ষকদের নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে হবে। মুষ্টিমেয় কিছুসংখ্যকের ব‍্যর্থতার জন‍্য প্রাথমিক শিক্ষার ধারাবাহিক সাফল‍্য ম্লান হতে পারেনা। আমরা সকলে স্মরণ করতে পারি, বিগতে সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ জাতীয় উন্নয়ন মেলায় শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো সুবিবেচনায় নেয়া হলে,প্রাথমিক শিক্ষা আরো এগিয়ে যাবে,এগিয়ে যাবে স্বপ্নের বাংলাদেশ। কারণ -"শুভ মুজিব বর্ষে"  অন‍্য সকল বিভাগের মত, প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের শিক্ষকগণও নতুন কিছু স্বপ্নের বাস্তবায়ন চায়।
ইউনুছ বেলাল
সভাপতি :প্রাথমিক বিদ‍্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতি
সদস্য সচিব :প্রাথমিক শিক্ষক ঐক‍্য পরিষদ
                    রামগঞ্জ উপজেলা শাখা, লক্ষ্মীপুর

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages