রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি ঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা খালগুলো অবৈধ দখল-দুষনে প্রায় মৃত হয়ে পড়েছে। উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা খালগুলোর মধ্যে উপজেলার কাটাখালীর টেক থেকে ডাগ্গাতলী পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর খালের অংশ, পূর্ব রামগঞ্জের আশারকোটা, কোমরতলা, পানিয়ালা বাজারের পার্শ্ব দিয়ে হাজিগঞ্জ হয়ে
ডাকাতিয়া নদীতে মিলিত হয় আরেকটি খাল।পৌর শহরের উপর দিয়ে বয়ে চলা ডাকাতিয়া নদীর আরেকটি সংযোগ খাল বিরেন্দ্র খাল। এটি পৌর শহর হয়ে জেলা পরিষদ খাল দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে হাজিগঞ্জ হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে মিলিত হয়। এক সময় উপজেলার সব কয়টি খাল প্রচন্ড খরস্রোত ছিল। সে সময় খরস্রোত খাল গুলো ছিল ব্যাবসা বানিজ্য ও যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। এতে খালগুলোর দু'পাড়ে গড়ে উঠে গ্রাম, গঞ্জ, বসতি। এ খালগুলো ছিল উপজেলার জীববৈচিত্র ও মানুষের আত্মসামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রস্থল। সে সময় খালগুলোর বুকে চলতো পাল তোলা নৌকা আর পন্যবাহী ষ্টিমার। খালের স্বচ্ছ পানিতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। পানিপ্রবাহের ছিলো না মানবসৃষ্ট কোন প্রতিবন্ধকতা। প্রকৃতির নিয়মে খালগুলো বয়ে চলত আপন স্বভাবে। অবৈধ দখলদারদের নির্যাতন নিষ্ঠুরতায় খরস্রোত খালগুলো এখন মৃত প্রায়। খাল দখল করে অবৈধ স্খাপনা গড়ে তুলেছে প্রভাবশালীরা।
ডাকাতিয়া নদীতে মিলিত হয় আরেকটি খাল।পৌর শহরের উপর দিয়ে বয়ে চলা ডাকাতিয়া নদীর আরেকটি সংযোগ খাল বিরেন্দ্র খাল। এটি পৌর শহর হয়ে জেলা পরিষদ খাল দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে হাজিগঞ্জ হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে মিলিত হয়। এক সময় উপজেলার সব কয়টি খাল প্রচন্ড খরস্রোত ছিল। সে সময় খরস্রোত খাল গুলো ছিল ব্যাবসা বানিজ্য ও যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। এতে খালগুলোর দু'পাড়ে গড়ে উঠে গ্রাম, গঞ্জ, বসতি। এ খালগুলো ছিল উপজেলার জীববৈচিত্র ও মানুষের আত্মসামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রস্থল। সে সময় খালগুলোর বুকে চলতো পাল তোলা নৌকা আর পন্যবাহী ষ্টিমার। খালের স্বচ্ছ পানিতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। পানিপ্রবাহের ছিলো না মানবসৃষ্ট কোন প্রতিবন্ধকতা। প্রকৃতির নিয়মে খালগুলো বয়ে চলত আপন স্বভাবে। অবৈধ দখলদারদের নির্যাতন নিষ্ঠুরতায় খরস্রোত খালগুলো এখন মৃত প্রায়। খাল দখল করে অবৈধ স্খাপনা গড়ে তুলেছে প্রভাবশালীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মিষ্টির দোকান সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর দূষিত বর্জ্য ফেলে দখল ও ভরাট এর কারণে খালগুলো পরিণত হয়েছে নালায়। দূষিত বর্জ্যরে দূর্গন্ধে খালপাড়ের মানুষগুলোর জীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ। এ অবস্থায় খাল সংস্কার, অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং দূষিত বর্জ্য ফেলা বন্ধের দাবী করেন উপজেলাবাসী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা তোসাদ্দেক হোসেন মানিক মাল জানান, এ অঞ্চলের একমাত্র বানিজ্য কেন্দ্র ছিল সোনাপুর বাজার। সোনাপুর বাজারকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে আসতো। সে সময় খালগুলোর বুকে চলতো পাল তোলা নৌকা আর পন্যবাহী ষ্টিমার। এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এবং জীব বৈচিত্র্য রক্ষার্থে এ খালটি অবৈধ দখল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
স্থানীয় আবুল বাশার, মিরন, মহসীনসহ শতাধিক লোকজন জানান, পানিয়ালা বাজারের পূর্ব পাশ্ব দিয়ে বয়ে চলা ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ খালটিতে তারা একসময় সাতার কেটে গোসল করতো। নানা প্রজাতির মাছ ধরতো। খরস্রোতার কারণে নদী থেকে পলি মাটি এসে এ অঞ্চলে কৃষি জমির উর্বরা শক্তি বাড়িয়ে দিতো। তাই এ অঞ্চলের ফলন বেশি হতো। আজ অবৈধ দখলদারদের কারণে খালের খরস্রোত বন্ধ হয়ে ময়লা আবর্জনায় পূর্ণ খালটি দূর্গন্ধে এলাকার বসতীদের দূর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের রামগঞ্জ অংশের খালটির খনন কাজ অচিরেই শুরু করা হবে। বিরেন্দ্র খালের ব্যাপারে মামলা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই খালগুলো অবৈধ দখল হয়ে যায়। অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তালিকা শেষে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment