রামগঞ্জে মেম্বারের লোকজনের উপর হামলা নির্মানধীন ভবন ভাংচুর করে মালামল লুট, থানায় মামলা আটক ৩
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের উত্তর দল্টা ৮ং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মহসিন রাশেদ খলিফার নির্মাধীন ভবন গত ১৭মে ২০২৩ইং ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় পাশ্ববর্তী চন্দ্রা বাড়ির জাহাঙ্গীর আলম ও তার লোকজন। এসময় মেম্বারের লোকজন বাঁধা দিলে তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এনিয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা করলে পুলিশ ৩ জনকে আটক করে লক্ষ্মীপুর আদালতে প্রেরণ করে।
মামলা ও স্হানীয় সূত্র জানাযায়, মামলার বাদী স্থানীয় ইউপি সদস্য মহসিন রাশেদ খলিফার সাথে চন্দ্রা বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে ১৭ মে ভোরে সাড়ে চার টায় জাহাঙ্গীর আলম (৫২),ফরহাদ হোসেন (২৮),মোঃ ইমাম হোসেন (৪২),বিল্লাল হোসেন (৩৮)ও মোঃ ইলিয়াস হোসেন (৪৮) সহ বহিরাগত আরো ৫/৬ লোক নিয়ে মেম্বার মহসিন রাশেদ খলিফার নির্মাধীন ভবন ভাংচুর করে ও নির্মান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় মেম্বার মহসিন বাড়িতে না থাকায় তার বাড়ির কেয়ারটেকার মোঃ আবদুল্লাহ এসে বাঁধা দিলে জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আবদুল্লাহর আত্ম চিৎকারে তার স্ত্রী সাথী আক্তার স্বামীকে বাচাতে বাঁধা দিলে তাকেও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। সাথী আক্তার মাটিতে পড়ে গেলে তার কাপড় ধরে টানাটানি করে শ্রীলতাহানি করে কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার চিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। এই ঘটনায় ১৯ মে মহসিন রাশেদ খলিফা বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফরহাদ হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও মোঃ ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে লক্ষ্মীপুর আদালতে প্রেরণ করে।
এব্যাপারে ২৭মে শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মঈন উদ্দিন ভূঁইয়া, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও ভাটরা ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা এমরান হোসেন ইমু জানান,মেম্বার মহসিন রাশেদ খলিফা একজন সৎ ও উদার মনের মানুষ সে একজন মেম্বার হিসাবে যা-কিছু সম্মানী ভাতা পান তার সম্পুর্ন অংশই তিনি একটা এতিমখানা দান করে দেয়। এছাড়া বাড়ি ও দোকান ভাড়ার টাকাও তিনি মসজিদ- মাদ্রাসায় দান করে দেয়। তিনি এই এলাকায় অনেকগুলো হতদরিদ্র ছেলে-মেয়ে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছে। সে বেশিরভাগ সময়ই চাঁদপুর থাকে ঐদিনও সে এলাকায় ছিল না। তারপর জাহাঙ্গীর উল্টো আদালতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
No comments:
Post a Comment