রামগঞ্জে সুপারি চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যুবককে পিটিয়ে পুলিশে দিলেন চেয়ারম্যান
লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জে সুপারি চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মা বাবা হারা পারভেজ নামের এক যুবককে বেঁধে মারধর করে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ শহীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ইছাপুর দর্জিবাড়ির হানিফ দর্জির সাথে চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয় একই বাড়ির আবুল কাশেমের দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে হানিফের ছেলে সবুজকে চোর সাজাতে একই বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে পারভেজকে চৌকিদার চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর ইউনিয়ন পরিষদে ধরে এনে সবুজের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বলে। এতে পারভেজ অস্বীকৃতি জানালে তাকে বেঁধে রেখে মারধর করে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। পরে পারভেজকেই চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় চেয়ারম্যান।
স্থানীয় আব্দুল মালিক, আনিস সুমন, আলী,রবু সোহেল সহ শতাধিক লোকজন জানায় মা বাবা হারা পারভেজ ৮ বছর বয়সে তার বাবাকে হারায় এবং ১০ বছর বয়সেই মাকে হারিয়ে ছোট ভাই বোনদের সাথে নিয়ে ফুফুদের সাথেই থাকতো পারভেজ। পরে ভাই বোনের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে দীর্ঘদিন থেকে সে ঢাকায় একটি দোকানে চাকরি করে আসছে। কয়দিন আগে ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসে চেয়ারম্যানের ষড়যন্ত্রের শিকার হয় বলে জানান এলাকাবাসী।ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার রাত দশটায় তালুকদার বাড়ীর শরিফ চোর বলে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী ছুটে এসে চোর না পেয়ে সবাই বাড়ি ফিরছিল।
সেই সময় শরীফ কে জিজ্ঞাসা করলে জানায় আলী হোসেনের বাগানে সবুজ ও পারভেজ চুরি করেছে অথচ বাগানের মালিক সহ অন্যান্যরা চুরির কোন আলামত না পেয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
এই নিয়ে মঙ্গলবার বাগানের মালিক কোনো অভিযোগ না করলেও একটি মহল তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য শরীফকে বাদী করে পারভেজকে চোর বলে পুলিশে দেয়।
বাগানের মালিক আলী হোসেন বলেন, চোর কে চিনতে না পারায় এবং চুরির কোন আলামত না পাওয়ায় তিনি কোন অভিযোগ করেননি।
অভিযোগকারী শরীফ জানায়, সবুজ তাকে মারধর করে এই প্রতিশোধ নিতেই ইউনিয়ন পরিষদ উপস্থিত হয়ে সবুজের চাচাতো ভাই পারভেজ এর বিরুদ্ধে নিজেই বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করে সে।
অভিযুক্ত পারভেজ জানায় চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়র সাথে সবুজ ও তার পরিবারের লোকজন সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলে আসছে। সবুজের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী না দেওয়ায় আমাকে চোরের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হাত বেঁধে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে চেয়ারম্যান।
মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ শহিদ বলেন শরীফের অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত পারভেজকে পুলিশে দিয়েছি।
এসআই আবদুস সাত্তার বলেন অন্য এক কাজ করে ফিরে আসার পথে থানার ফোন পেয়ে পারভেজকে থানায় এনে জমা দেন তিনি
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি তদন্ত ফজলুল হক জানায় পারভেজ চুরির সাথে সম্পৃক্ত নয়। তাই তাকে চুরির মামলা দেই নাই।
No comments:
Post a Comment