রামগঞ্জ খালের উপর নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিলো সহকারী কমিশনার - pratidinkhobor24.com

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad




Tuesday 12 January 2021

রামগঞ্জ খালের উপর নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিলো সহকারী কমিশনার




 রামগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সরকারী খাস সম্পত্তির খাল দখল করে ব্যক্তি মালিকানায় জেলা পরিষদ কতৃক লীজ নেয়ার নাম করে স্থাপনা নির্মানের খবর পেয়ে নির্মানাধীন স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হুমায়ুন রশিদ। 
আজ মঙ্গলবার বিকালে  উপজেলার পানপাড়া বাজার ব্রীজ সংলগ্ন পূর্ব পাশের খালের উপর থেকে এ অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় কৃষকরা উক্ত নির্মানাধীন স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, বিগত কয়েকদিন থেকে পানপাড়া গ্রামের অজি উল্যার ছেলে সায়েম হোসেন ও শ্রীরামপুর গ্রামের মুকবুল আহম্মেদের ছেলে আলম হোসেন পানপাড়া বাজার বড় ব্রীজ সংলগ্ন সরকারী খাস খতিয়ানের ১১৪ নং দাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩ নং খাস খতিয়ানের খালটির উপর ভবন নির্মানের চেষ্টা করে। 
উক্ত ভবন নির্মানের কারনে স্থানীয় কৃষকগণ চলতি ইরি মৌসুমে পানির জন্য চরম বিপাকে পড়ার আশঙ্কা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হুমায়ুন রশিদ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সরেজমিনে তদন্ত করে পানপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলামকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশনা ও ভবন নির্মাতাকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়।
১১ জানুয়ারী সকালে উক্ত খালে ভবন নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলেও অবৈধ স্থাপনাটি নির্মান অব্যাহত রাখে দখলকারীগণ। ঐদিন রাত ৮টায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই দখলকারীকে ভ্রাম্যমান আদালতে ২০হাজার টাকা জরিমানা করে। এসময় সায়েম হোসেন ও আলম হোসেন মুছলেকা দিয়ে স্থাপনা নির্মান বন্ধ রাখার অঙ্গিকার করেন।
মুছলেকা দেয়ার মাত্র ১ ঘন্টা পর আবারও ৯টায় সায়েম হোসেন ও আলম হোসেন রাস্তার পাশে বেড়া দিয়ে গোপনে বীম ঢালাই সম্পর্ণ করে। আজ মঙ্গলবার বিকালে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন রশিদ ও পানপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে সরকারী লোকজন উক্ত স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।
এ ব্যপারে সায়েম হোসেন ও আলম হোসেন জানান, আমরা জেলা পরিষদ থেকে উক্ত জায়গায় লীজ এনেছি। লীজকৃত জমিতে আমরা স্থাপনা নির্মান করছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনারা (ভূমি) মোঃ হুমায়ুন রশিদ জানান, খাল দখলে সরকারীভাবে চরম নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কোন অবস্থায়ই সরকারী খাল দখল করে কৃষকের ক্ষতি করা যাবে না। পুরো উপজেলার খাল দখলমুক্ত করতে ইতোমধ্যে তালিকা করা হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়ার পর পর্যায়ক্রমে সকল খাল দখল মুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages