মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজা
নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের পুষ্টুকামারি গ্রামের রাসেল রানার স্ত্রী ২ সন্তানের জননী রিনা বেগম (৪০) বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সকালে উপজেলার পুষ্টকামারি গ্রামে রাসেল রানার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক মাস যাবৎ রাসেল রানা দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রায়ই প্রথম স্ত্রী রাশেদা ওরফে রিনার বেগম এর সাথে প্রায়ই দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। এছাড়া রাসেল রানা যখনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসত তখনি দ্বিতীয় স্ত্রী'র বিষয় নিয়ে প্রথম স্ত্রী রিনা বেগমকে মারপিট করত। গত পরশু দিন রাতে এসব বিষয় নিয়ে রিনা বেগমকে মারপিট করে গতকাল সকালে রাসেল ঢাকা চলে যায়।
পরেরদিন রাতে বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে মা শুয়ে থাকে। সকালে অানুমানিক ৬ টার সময় তার শরীর খারাপ লাগলে বড় ছেলেকে রিনা তার মাথায় পানি ঢালতে বলে। ছেলে মা এর মাথায় পানি ঢেলে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে মাকে দেখতে না পেয়ে সন্তানরা মাকে বাড়িতে খুঁজতে থাকে। পরে, সকাল অনুমানিক ১০ টা এর সময় তারা মাকে বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওরনা পেচিয়ে ফাঁস নেয়া অবস্থায় পায়। বাচ্চাদের ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসী এগিয়ে এসে থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে, তাকে নামানো হলে রিনার দেহ নিথর পায় সবাই।
এ বিষয়ে রাসেল রানার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, দাম্পত্য কলহ ও মারপিট এর ঘটনা অস্বীকার করে বলে, আমি প্রায় গত ২ বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। রিনার সাথে আমার কোন কলহ ছিলনা।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে নাগরপুর থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশটি থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে
প্রয়োজনীয় সকল আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
No comments:
Post a Comment