রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের গাব্বার বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় গৃহবধূ জোহরা বেগমের ফ্যানের সাথে ঝুড়ন্ত লাশ উদ্ধার করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ । জোহরা বেগম ওই বাড়ির প্রবাসী আঃ মালেকের স্ত্রী ও ভাদুর ইউনিয়নের ফৈইতপুর মোল্লা বাড়ির আমিনুল ইসলামের মেয়ে। জোহরা বেগমের পিতা আমিনুল ইসলাম দাবী করে তাঁর মেয়েকে নির্যাতন শেষে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ স্বামী আঃ মালেককে গ্রেফতার করেন।
জানা যায়, জোহরা বেগমের সাথে আঃ মালেকের ৯বছর আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ে পর আঃ মালিক বিদেশ চলে যায় এবং তারা পরিবারিকভাবে শান্তিতে ছিল । এর মধ্যে তাদের সংসারে ২টি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। মাঝে মধ্যে স্বামী আঃ মালেক ও তার শাশুড়ি ননদের সাথে টাকা পয়সাসহ তুচ্ছ অযুহাতে ঝড়গাঝাটি হতো।
এলাকাবাসী জানায়, গত দেড় বছর পূর্বে আঃ মালেক বিদেশ থেকে একবারে বাড়িতে চলে আসার পর চট্টগ্রামে একটি গাড়ির ওয়ার্কসপে চাকরি নেয় এর মাঝে প্রায়ই আঃ মালেক বাড়ি আসতো এবং মাঝেমধ্যে তাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হতো ক্রমাগত তা ব্যাপক আকার ধারন করে। এরই সুত্র ধরে বৃহস্পতিবার এশার নামাজের সময় আঃ মালেক ও তার পিতা যখন নামাজ পড়তে মসজিদে যায় তখনই সম্ভবত রুমের ভিতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে মোবাইলে তার পিতার সাথে কথা বলার পর আত্মহত্যা করতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
বৃহস্পতিবার রাতে আঃ মালেকের বাড়ির লোকজন জোহরা বেগম আত্নহত্যার বিষয় জানালে, পুলিশ এসে রুমের দরজা ভেঙ্গে ভিতর ফ্যানের সাথে ঝুড়ন্ত অবস্থায় জোহরার লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর মর্গে প্রেরন করেন।
জোহরার পিতা আমিনুল ইসলাম জানান, তাঁর মেয়ের জামাই বিদেশ থেকে একবারে আসার পর থেকে মেয়ের শশুর ননদের প্ররচনায় পড়ে টাকা ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মেয়ের উপর নির্যাতন করে আসছে। বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ৪২ মিনিটের সময় তার মেয়ে তাকে ফোন করে বলে তারা তার উপর সারাদিন কয়েক দপায় নির্যাতন করছে। রাত সাড়ে ৮টার সময় মেয়ের জামাই ফোন করে বলে জোহরা আত্নহত্যা করেছে। আমার মেয়ে আত্নহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে, আমি এর বিচার চাই।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের সুরুতহাল অনুযায়ী আত্নহত্যা করছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ব্যাপার ৬০২ ধারায় মামলা হয়েছে এবং প্ররোচনার দায়ে গৃহবধূর স্বামী আঃ মালেকে গ্রেফতার করা
No comments:
Post a Comment