নিউজ ডেস্ক --রামগঞ্জ উপজেলার করোনা রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের দাফনের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করে মানবতার সেবায় অনন্য দৃস্টান্ত স্থাপন করলেন দানবীর খ্যাত ব্যবসায়ী,সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী জনাব ফরিদ আহমেদ ভুইয়া। এছাড়া তিনি রামগঞ্জে গঠিত দাফন কমিটির সদস্যদেরকে উন্নতমানের পিপিই, মাস্ক ও গামবুটসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক সুরক্ষা সামগ্রীও প্রদান করেছেন।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, করোনা পজেটিভ বা উপসর্গ নিয়ে রোগীর মৃত্যুতে ভয় অার অাতংকে যখন নিজের ছেলে,মেয়ে,ভাই বোন ,অাত্নীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা দুরে সরে যায়,সে সময় মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাজে এগিয়ে এসেছেন রামগঞ্জের বিভিন্ন স্বেচছাসেবী সংগঠনের বেশ কয়েকজন সাহসী ও মানবদরদী সদস্য। তাদের এই উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসা পেলেও লাশ দাফন কাজে পরিবহন সমস্যার পাশাপাশি পিপিই,চশমা,মাস্ক,হ্যান্ড গ্লাভস,হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বুটজুতাসহ সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে তাদের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল।এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়ে এবং নিজেদের উপর অাস্থা হারাতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে, রামগঞ্জ তথা বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ ফরিদ অাহমেদ ভুঁইয়া একাডেমির চেয়ারম্যান এবং দানবীর খ্যাত জনাব ফরিদ আহমেদ ভুইয়া অতি দ্রুততার সাথে দুই মাসের জন্য সার্বক্ষনিক একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেন। শুধু তাই নয় তিনি দাফন কমিটির সদস্যদেরকে পর্যাপ্ত পরিমান সুরক্ষা সামগ্রীও প্রদান করেছেন।এর ফলে এখন রামগঞ্জে করোনা আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তিসহ করোনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন এবং মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাজও দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।জনাব ফরিদ আহমেদ ভুইয়ার এই সহায়তার কথা এখন রামগঞ্জে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। অনেকই তাকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment