মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজা নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ নাগরপুর সদর ৫০ শয্যা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইতিকথা। এর শুরুটা ছিল পুন্ডরীকাক্ষ হাসপাতাল, জনশ্রুতি ও ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, জমিদার রায় বাহাদুর সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরী জমিদারী পরিচালনায় একবার কলকাতা থেকে ছেলে পুন্ডরী কাক্ষকে সাথে নিয়ে নাগরপুর আসেন। এ যাত্রায় তিনি নাগরপুরে অবস্থানও করেন অনেকদিন। হঠাৎ তাঁর একমাত্র ছেলে পুন্ডরী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে অপেক্ষাকৃত উন্নত চিকিৎসার অভাবে চৌধুরী বংশের সকলের আদরের দুলাল পুন্ডরী মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন। বিষয়টি চৌধুরী পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে ব্যাপক কষ্টের সৃষ্টি করে এবং তাদের মনে এই কষ্টের পাশাপাশি প্রজাদের অসহায় অবস্থা এবং দুঃখের কথাটি অত্যন্ত মানবিকতার সাথে চিন্তা করে খুব দ্রুত প্রজা কল্যানে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তী দু বৎসরের মধ্যেই সকলের প্রিয় পুন্ডরীর স্মৃতি স্মরনে প্রতিষ্ঠিত হয় পুন্ডরীকাক্ষ দাতব্য চিকিৎসালয়। আরও জানাযায়, মির্জাপুর কুমিদিনী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ হাসপাতালটির ছিল সুখ্যাতি। উল্লেখ্য উপ-মহাদেশ খ্যাত ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় এই হাসপাতালের একজন খ্যতিমান চিকিৎসক ছিলেন।
হাসপাতালটি বর্তমানে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাগরপুর। যে উদ্দেশ্যে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে তার কতটুকু সুফলতা ভোগ করতে পারছি আমরা নাগরপুর বাসী?
No comments:
Post a Comment